• বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৭ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

ব্যবসা-বাণিজ্য এগিয়ে নিতে সরকারের সহযোগিতা চান ব্যবসায়ীরা

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১৩ আগস্ট ২০২৪  

বিজিএমইএর ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহিল রাকিব বলেছেন, আমি বিনীতভাবে অনুরোধ করি এই দেশটা আমাদের। এটা কোনো দলের না। আমরা সবাই বাংলাদেশি। আমি বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই আমাদের সংকটটা আমরাই সৃষ্টি করেছি। আমাদের অঞ্চলেই পাশের লোকটা এসে কারখানা ভাঙছে। আমরা পুলিশ-আর্মি সাইকে অনুরোধ করবো এই প্রত্যেকটি ইনভেস্টমেন্ট একেকটা কেপিআই, আপনারা প্রায়োরিটি বেসিসে এর নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
ব্যবসায়ীদের সাম্প্রতিক সমস্যা নিয়ে সোমবার (১২ আগস্ট) অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে গার্মেস্টস এক্সসরিজ উৎপাদনকারীদের সংগঠন বিজিপিএমইএ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

আবদুল্লাহিল রাকিব বলেন, হাইওয়ে পুলিশকে আমরা বলেছি- আমাদের প্রত্যেকটা কারখানায় ৪৭-৪৮ কন্টেইনার মাল পড়ে আছে, আমরা পাঠানোর সাহস পাচ্ছি না। এটার নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।

সভায় এই মুহূর্তে অনেক কারখানার মালিক রয়েছেন, যারা কারখানা চালাতে গিয়ে ‘ক্যাশ ফ্লো’ ক্রাইসিসে আছেন। আমরা গণমাধ্যমের মাধ্যমে বলতে চাই- আমাদের ইলেক্ট্রিসিটি বিলের কারণে যেন কমপক্ষে ৬ মাস লাইনগুলা না কাটা হয়। যে মালিক দিতে পারছেন না তাকে যেন সময় দেওয়া হয়, ৬ মাসের মধ্যে যেন তিনি ঘুরে দাঁড়াতে পারেন।

আমরা বলছি- আমাদের যে ইউজগুলো আছে ব্যাংকারদের, আগামী ৬ মাসের জন্য বিজনেস ব্লক যেন না করা হয়, ইন্সটলমেন্ট পেমেন্ট না দেওয়ার শর্তে। আমরা আশা করি, ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশন, যারা আমাদের সঙ্গে বিজনেস করেন, আমাদের রেভিনিউ দিয়ে তাদের প্রফিটিবিলিটি হয়, তারা যেন এতটুকু আমাদের সাপোর্ট দেন।

আমরা সরকারের কাছে কমপক্ষে দুই মাসের একটা সফট লোন চাই, যেটা দিয়ে আমরা আমাদের যে ক্যাশ ফ্লো, সেটা ম্যানেজ করতে পারি।

তিনি বলেন, এলডিসি নিয়ে কথা হয়েছে, আসলে গ্র্যাজুয়েশনের যে ডেটা, সেগুলো ফেক ছিল। আপনারা দেখেছেন আমাদের ব্লেইম করা হয়েছে- ১৬ বিলিয়ন ডলার নাকি আমরা বাইরে রেখে দিয়েছি। যেখানে পরবর্তীতে তাদের ইপিবি’র ফিগার আর সেন্ট্রাল ব্যাংকের ফিগার এক ছিল না। তখন আমরা বলেছি- ১৬ বিলিয়ন ডলারে গ্যাপ থাকে ৪ বিলিয়ন ডলার, তাহলে এই ৪ বিলিয়ন ডলার আমরা কি কাস্টমারের থেকে অ্যাডভান্স নিয়ে আসছি নাকি, এখন উত্তর দেন। উত্তর দিতে পারেননি তারা।

আবদুল্লাহিল রাকিব বলেন, আমরা আজ বাক-স্বাধীনতা পেয়েছি বলে কথাগুলো বলতে পারছি। মিডিয়া আমাদের কাছে জানতে চেয়েছে গ্যাপটা কোথায়, আমরা তখন বলতে পারিনি। কারণ তখন অনেক বাধা ছিল।

তিনি বলেন, আমাদের কনজামশনকে তারা ফিক্সড করে দেয় ১৬ শতাংশ। এক তরফাভাবে কনজামশন ফিক্সড করে দেওয়া হয়েছিল। যেখানে আমাদের প্রোফিট লস হচ্ছে কমপক্ষে ২২ শতাংশ। তাহলে আমরা বাকিটা ম্যানেজ করবো কোথা থেকে। এটার জন্যই তারা গ্যাপটা তৈরি করে আমাদের ফাইন দিতেন।

আমি অনুরোধ করবো যেখানে আছেন, পলিসি মেকাররা তারা যেন ইন্ডাস্ট্রি ইস্পেশালিস্ট হন।

বাংলাদেশ ব্যাংকে সেসব ব্লকার এসআরও এসেছে, যেটা বিজনেস বান্ধব না সেগুলোকে জরুরিভাবে তালিকা করতে। আমি নেতাদের অনুরোধ করছি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার যারাই নিচ্ছেন- তারা যেন জরুরিভাবে আমাদের এই মুহূর্তের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কী কী করতে হবে, তা নির্ধারণ করেন।