• বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ ||

  • আষাঢ় ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৫

সর্বশেষ:
রাষ্ট্রদূতকে কুয়েতে জনশক্তি রপ্তানিতে কাজ করার নির্দেশ রাষ্ট্রপতি গ্রামের নাগরিকদের জন্য সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ও সড়ক পরিবহন সচিব পদে পুন:নিয়োগ চট্টগ্রাম বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ১ লাখ ৬ হাজার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের রোড মডেল হয়েছে বিমানের পাইলট ঘাটতি কাটিয়ে উঠার নির্দেশ দিলেন মুহাম্মদ ফারুক খান দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নের আহবান নাছিমের সুনামগঞ্জের শাল্লায় বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ ও নগদ অর্থ বিতরণ চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমবাগান পরিদর্শনে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত দেশের স্বার্থ রক্ষা করেই ভারতের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

কোরবানির যোগ্যতা ও ঋণ থাকলে বিধান কী?

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ৫ জুন ২০২৪  

ইসলাম ধর্মে জাকাত ও কোরবানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এই ইবাদতগুলোর যোগ্যতা অর্জনের জন্য নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকা জরুরি।
তবে জাকাত আদায়ের জন্য সম্পদ পুরো এক বছর থাকা আবশ্যক। কিন্তু কোরবানির নেসাবের ক্ষেত্রে বছর অতিক্রম করা শর্ত নয়। বরং জিলহজের ১০ তারিখ ফজর থেকে ১২ ই জিলহজ সূর্যাস্ত সময়ের মধ্যে যেকোনো সময় নিসাবের মালিক হলে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হয়ে যাবে। বছর অতিক্রম হয়েছে কি হয় নি; তা দেখা হবে না। (আহসানুল ফাতাওয়া ৭/৫০৬)

নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক যদি কোরবানির দিনগুলোতে সাময়িক ঋণগ্রস্ত থাকে, যা পরিশোধ করে দিলে তার কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদ বাকি থাকে না তাহলে তার উপর কোরবানি ওয়াজিব হবে না। আর যদি ঋণ আদায় করে দিলেও নেসাব পরিমাণ সম্পদ বাকি থাকে তাহলে তার উপর কোরবানি ওয়াজিব হবে। (বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৬; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/২৯২)

নেসাব হলো: স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত (৭.৫) ভরি। আর রুপার ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন (৫২.৫) ভরি। আর অন্যান্য বস্তুর ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপার সমমূল্যের সম্পদ।

স্বর্ণ বা রুপার কোনো একটি যদি পৃথকভাবে নেসাব পরিমাণ না হয় তবে স্বর্ণ-রুপা উভয়টি মিলে কিংবা এর সঙ্গে প্রয়োজন-অতিরিক্ত অন্য বস্তুর মূল্য মিলে সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপার সমমূল্যের হয়ে যায় সেক্ষেত্রেও কোরবানি ওয়াজিব হবে।

স্বর্ণ-রুপার অলঙ্কার, নগদ অর্থ, যে জমি বাৎসরিক খোরাকীর জন্য প্রয়োজন হয় না এবং প্রয়োজন অতিরিক্ত আসবাবপত্র-এ সবই কোরবানির নেসাবের ক্ষেত্রে হিসাবযোগ্য।

তাই কারো কাছে যদি এতো সম্পদ থাকে যে, ঋণ আদায় করার পরও নেসাব পরিমাণ সম্পদ প্রয়োজন অতিরিক্ত অবশিষ্ট থাকে, তাহলে তার উপর কোরবানি আবশ্যক হবে। আর যদি এতোটুকু সম্পদ না থাকে,তাহলে কোরবানি আবশ্যক হবে না। (বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৬)

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল