• মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ২ ১৪৩১

  • || ১২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বৈষম্যমুক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম গড়তে কাউকে পেছনে রাখা হবে না

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪  

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা সবাইকে আইন-শৃংখলার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, বৈষম্যমুক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম গড়তে কাউকে পেছনে ফেলে রাখা হবে না। 
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে দেশে সুশাসন নিশ্চিত করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে তার কক্ষে গণঅধিকার পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন। 
সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, ‘বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগত চাহিদাপূরণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাবো। অসাম্প্রদায়িক চিন্তা চেতনা লালন করে ও ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রেখে পাহাড়ি-বাঙালি সকলকে ভাই ভাই হিসেবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যেতে হবে।’ 
তিনি বলেন, প্রতিটি জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সমতার বিধান রাখা হবে। পাংখোয়া, মার্মা, খুমী, খেয়াং, বম, চাক, ম্রো, তঞ্চংগা, লুসাই, ত্রিপুরা, চাকমা, বাঙালি সব সম্প্রদায়ের মধ্য থেকে কর্মসংস্থানের গুরুত্ব বিবেচনা করে সবাইকে সমান সুযোগ প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে। সে লক্ষ্য পূরণে আমরা তিন পার্বত্য জেলায় লাইভলিহুড ডেভেলপমেন্ট গড়ে তুলতে চাই এবং পাশাপাশি আমরা কমিউনিটি বেইজড সোসাইটি গড়ে তুলবো। 
উপদেষ্টা বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ানো দরকার। এজন্য তিনি সরকার কর্তৃক ধার্যকৃত রাজস্ব প্রদান নিশ্চিত করার জন্য সকল সামর্থবান মানুষদের প্রতি আহ্বান জানান। 
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, তিন পার্বত্য অঞ্চলে পানির অভাব যাতে না হয় এবং পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করে নদী, নালা, ঝিলগুলোর পানির প্রবাহ ঠিক করা হবে। সেগুন গাছের চেয়ে পার্বত্য জেলাগুলোতে প্রচুর বাঁশের চারা রোপণ করা হবে।  
তিনি বলেন, ‘খাগড়াছড়িতে প্রচুর আম হয়, দিঘীনালায় কোয়ালিটি সম্পন্ন লিচুর বাম্পার ফলন হচ্ছে। আমরা আম গাছ, লিচু গাছসহ নানা প্রকার গাছ রোপণ করার কাজ ইতোমধ্যে শুরু করে দিয়েছি। পার্বত্য এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য আমরা সবাই মিলেমিশে কাজ করতে চাই। সকলের সম্মিলিত মতামতের ভিত্তিতেই আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকি।’
বৈঠককালে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব কংকন চাকমা, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ফারুক হাসান, গণঅধিকার পরিষদের ঊর্ধতন পরিষদ সদস্য ব্যারিস্টার জিসান মহসিন, যুগ্ম আহ্বায়ক সাকিব হোসাইন, যুগ্ম সদস্য সচিব মাওলানা আরিফ বিল্লাহ, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মোল্যা রহমাতুল্লাহ্, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব মুনতাসির মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 
পরে গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে উপদেষ্টার কাছে তাদের ৯ দফা প্রস্তাব হস্তান্তর করা হয়। গণঅধিকার পরিষদের সদস্যরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অভিনন্দন জানান এবং সরকারের উন্নয়ন কাজে সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদানে আন্তরিক থাকবেন বলেও উপদেষ্টাকে অবহিত করেন।