• বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৭ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

রূপপুর প্রকল্প থেকে ৫শ’ কোটি ডলার আত্মসাৎ করেন শেখ হাসিনা

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১৮ আগস্ট ২০২৪  

দেশের সবচেয়ে বড় ও ব্যয়বহুল প্রকল্প রূপপুরের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। আশা করা হচ্ছে, এটি পুরোপুরি বাস্তবায়নের পর ২০ শতাংশ বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করবে। সম্প্রতি এ বিষয়ে নিজস্ব অনুসন্ধানের ভিত্তিতে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পোরেশন নামে একটি পোর্টাল।
গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের প্রতিবেদন বলছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫শ’ কোটি ডলারের বেশি আত্মসাৎ করেন বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রতিষ্ঠানটি জানায়, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা-রোসাট্রম মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকের মাধ্যমে তাকে অর্থ-আত্মসাতের সুযোগ করে দেয়, যাতে মধ্যস্ততা করেন তার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার সহযোগিতায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্মাণে খরচ ধরা হয় এক হাজার ২৬৫ কোটি ডলার। প্রয়োজনের তুলনায় যা অনেক বেশি। যাতে মালয়েশিয়ার এক ব্যাংকের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে এই বাজেট থেকে ৫শ’ কোটি ডলার আত্মসাতের সুযোগ করে দেয় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা-রোসাট্রম।

এতে আরো বলা হয়, নিজের ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকের মধ্যস্থতায় রাশিয়ার সঙ্গে এ চুক্তি করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ মধ্যস্থতার বিনিময়ে পাচার করা অর্থের ৩০ শতাংশ পেয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক, শেখ রেহানা ও পরিবারের কয়েক সদস্য। ২০১৩ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাতের সময় সঙ্গী হয়েছিলেন টিউলিপ সিদ্দিক।

গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের দাবি, সে সময় ঢাকা-মস্কোর বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তির মধ্যস্থতাও করেন টিউলিপ সিদ্দিক।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে ‘প্রচ্ছায়া লিমিটেড’ নামে একটি ভুয়া কোম্পানি চালু করেন টিউলিপ সিদ্দিক, তার মা শেখ রেহানা ও চাচা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক। যুক্তরাষ্ট্রেও জুমানা ইনভেস্টমেন্ট নামে একটি কোম্পানি রয়েছে তাদের।

গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের অভিযোগ, এ কোম্পানির মাধ্যমেই বিভিন্ন দেশের অফশোর অ্যাকাউন্টে অর্থপাচার করতেন শেখ হাসিনা।

২০১৮ সালে চালু হয় গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প নামে পোর্টালটি। বিভিন্ন দেশের সামরিক ও প্রতিরক্ষাখাতে দুর্নীতির অনুসন্ধান করে থাকে তারা। বিশেষ করে চীন ও রাশিয়ার সামরিক শক্তির বিস্তার রোধে পশ্চিমা ঢাল হয়ে কাজ করে এই প্রতিষ্ঠানটি।