• বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৭ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

আওয়ামী লীগ আমলে নিখোঁজ ও গুমের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১৫ আগস্ট ২০২৪  

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হওয়া প্রত্যেকটি নিখোঁজ ও গুমের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত বলে মনে করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে  কমিশন স্ব:প্রণোদিত অভিযোগ (সুয়োমটো) গ্রহণ করেছে।
একই সাথে কমিশন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ ও গুমের শিকার প্রতিটি ব্যক্তির বর্তমান অবস্থান নিশ্চিতকরণ এবং জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত ও উপয্ক্তু আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ সম্পর্কে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সুয়োমটোর কথা জানানো হয়।
সুয়োমটোতে উল্লেখ রয়েছে, আইনের আশ্রয়লাভ একটি সাংবিধানিক অধিকার। কোনো ব্যক্তি অপরাধ করে থাকলে প্রচলিত আইনে তার বিচার হওয়া উচিত, কিন্তু কোন প্রকার গ্রেফতার না দেখিয়ে বিগত কয়েক বছরে বহু মানুষ নিখোঁজ ও গুমের শিকার হয়েছে মর্মে খবর পাওয়া যায়। যাদের অনেকের খোঁজ আজ অবধি পাওয়া যায় নি। বিচার বহির্ভূতভাবে মানুষকে আটক রেখে নির্যাতন করার যে চিত্র প্রকাশ পেয়েছে তা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়। এটি মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। 
এখানে উল্লেখ্য, গত ১৪ আগস্ট দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় ‘গুম হওয়াদের সন্ধান চান স্বজনরা’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদনটি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নজরে আসে। কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত সুয়োমটোর বিষয়বস্তু হচ্ছে-আওয়ামী লীগের শাসনামলে নিখোঁজ ও গুম হওয়াদের সন্ধান চেয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ও কার্যালয় যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন স্বজনরা। ১৪ আগস্ট দুপুরে রাজধানীর ভিআইপি সড়কে অবস্থান নিয়ে তাঁরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এ সময় শতাধিক নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধান দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা। কারও স্বামী, কারও বাবা, কিংবা কারও ভাইয়ের খোঁজে তারা অবস্থান করেন। ‘আয়নাঘর আয়না ঘর, খুলে দাও খুলে দাও’; ‘মুক্তি চাই মুক্তি চাই, গুম স্বজনদের মুক্তি চাই’; ‘আমাদের দাবি আমাদের দাবি, মানতে হবে মানতে হবে’ বলে স্লোগান দেন তারা। তেজগাঁও থানা যুবদলের নেতা বশির উদ্দীন হাওলাদার ২০১১ সালের ১৪ জুন রাজধানীর গুলিস্তান থেকে নিখোঁজ হন। তার একছেলে ও এক মেয়ে রয়েছেন। তার স্ত্রী হোসনে আরা ও সন্তানরা যমুনার সামনে অবস্থানকালে তাকে ফিরে পাওয়ার দাবি জানান। এমন অনেক গুম ও নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনরা নতুন সরকারের কাছে নিখোঁজদের সন্ধান চেয়ে আবেদন জানান।