• বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৭ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

বিমানবন্দরে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের ‘স্যার’ সম্বোধন করতে স্মারকলিপি

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১২ আগস্ট ২০২৪  

বিমানবন্দরে রেমিট্যান্স যোদ্ধাসহ সম্মানিত যাত্রী সাধারণকে ‘স্যার’ বা ‘ম্যাডাম’ বলে সম্বোধন করতে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। 

রবিবার (১১ আগস্ট) এ সংক্রান্ত ১২ দফা দাবি আদায়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এর নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়াকে স্মারকলিপি দেয় কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

১২ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- 

১. রেমিট্যান্স যোদ্ধাসহ সম্মানিত যাত্রী সাধারণকে বিমানবন্দরে কর্মরত প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী যাতে সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শনপূর্বক "স্যার" বা "ম্যাডাম" বলে সম্বোধন করে এই লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় আদেশ জারী করতে হবে। 

২. বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানি বন্ধে ও সেবা কার্যক্রম অধিকতর মানবীয় করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার করার নিমিত্ত বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করতে হবে।

৩. বিগত ১৬ বছরে বেবিচকের যে সকল চিহ্নিত কর্মকর্তা-কর্মচারী জোটবদ্ধভাবে কর্তৃপক্ষের স্বাভাবিক কাজে বাধা দানের জন্য বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এবং প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের মাধ্যমে সিভিল এভিয়েশনের বিভিন্ন কর্মকর্তার নামে রাজনৈতিক ট্যাগ দিয়ে পত্র প্রেরণ ও তদবির-সহ কর্তৃপক্ষের কাজে অবৈধ প্রভাব বিস্তার করেছে তাদেরকে অনতিবিলম্বে চাকরি হতে অব্যাহতি দিয়ে সার্বিক ভাবে কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

৪. যাদেরকে রাজনৈতিক ট্যাগ লাগিয়ে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও পদোন্নতি বঞ্চিত হবে এবং যোগ্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন করতে হবে। করা হয়েছে, অনতিবিলম্বে তাদের পদোন্নতি প্রদান করতে হবে এবং যোগ্য কর্মকর্তা কর্মচারিদের গুরুত্বপূর্ন পদে পদায়ন করতে হবে।

৫. বর্তমানে চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্নকরণের পূর্বেই বিগত ৫ বছরে যারা লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও শুধুমাত্র গোয়েন্দা রিপোর্টের কারণে চাকরি পায়নি সে সকল হতভাগাদের তালিকা করে তাদের নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। এ লক্ষ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।

৬. বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোর নাম পূর্বে যা ছিল তা প্রতিস্থাপন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

৭. সৈয়দপুর বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন করে "শহীদ আবু সাঈদ বিমানবন্দর" রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৮. বেবিচকের যোগ্য কর্মকর্তাদের কর্তৃপক্ষের 'সদস্য' পদে নিয়োগের বিধান চালু করতে হবে।

৯. নির্বাহী পরিচালক পর্যন্ত সিভিল এভিয়েশনের সকল পদে কর্তৃপক্ষের অভ্যন্তরীণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদায়ন নিশ্চিত করতে হবে। 

১০. বিদেশ ভ্রমণের সরকারী আদেশ মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তে অত্র কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারির নিমিত্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

১১. সিভিল এভিয়েশনের সকল কার্যক্রম যাতে অত্র কর্তৃপক্ষের আইন অনুযায়ী পরিচালিত হয় এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। 

১২. কর্তৃপক্ষের নিয়োগ, পদোন্নতি, প্রশিক্ষণ, আবাসন, আর্থিক ও জনবল কাঠামো সংক্রান্ত বিদ্যমান অসঙ্গতি দূরীকরনে জরুরী ভিত্তিতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।

স্মারক লিপিতে আরো বলা হয়, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আত্মদানকারী শহীদ আবু সাঈদ, ওয়াসিম, মুগ্ধ-সহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। যারা স্বজন হারিয়েছেন তাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আমাদের নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। এ দেশ আমাদের সবার। বাংলাদেশ ভালো থাকলে আমরা ভালো থাকবো। সিভিল এভিয়েশন বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠান অন্য আর দশটা প্রতিষ্ঠানের মতো গতানুগতিক নয়। এ প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করতে হয়। তাই বিমানবন্দরের যাত্রী সেবার মান উন্নয়ন, সকল সংস্থা কর্তৃক যাত্রী হয়রানী বন্ধ করার দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।