• শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ ||

  • আষাঢ় ১৫ ১৪৩১

  • || ২১ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৫

বন্ধ হচ্ছে ‘কক্সবাজার স্পেশাল’ ট্রেন

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ৩০ মে ২০২৪  

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের প্রথম ট্রেন ‘কক্সবাজার স্পেশাল’ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে। ইঞ্জিন ও লোকোমাস্টার সংকটের কারণে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) থেকে বন্ধ হচ্ছে ট্রেনটির চলাচল। মঙ্গলবার (২৮ মে) রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের সহকারী প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (এসিওপিএস) কামাল আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। ঐ বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, রেলওয়ের মহাপরিচালকের কার্যালয় থেকে কক্সবাজার স্পেশাল-৩ ও ৪ ট্রেনটি আগামী ১০ জুন পর্যন্ত চলাচলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু যান্ত্রিক বিভাগ থেকে ইঞ্জিন ও লোকোমাস্টারের সংকট থাকার কথা জানানো হয়েছে। এজন্য কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন বুধবার (২৯ মে) পর্যন্ত চলবে। ৩০ মে (বৃহস্পতিবার) থেকে ১০ জুন পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বাতিল করা হলো। চট্টগ্রাম রেলওয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ থেকে কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনটি বুধবারের পর থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। রেলওয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, ইঞ্জিন সংকটে ভুগছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল। রেলওয়ে মহাপরিচালকের কার্যালয়ের সিদ্ধান্ত অনুসারে ৩০ মে থেকে আগামী ১০ জুন পর্যন্ত ট্রেনটির চলাচল বন্ধ থাকবে। ঈদের দুদিন আগে ছাড়া স্পেশাল ট্রেন চালুর কোনো সম্ভাবনা নেই। প্রতিদিন গড়ে অন্তত ১১৫টি ইঞ্জিন প্রয়োজন হলেও পাওয়া যাচ্ছে ১০০টি। ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে গত ৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে এক জোড়া স্পেশাল ট্রেন চালু করা হয়। ঈদের দিন বাদ দিয়ে ট্রেনটি চলাচলের কথা ছিল ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। ঈদ পরবর্তী ১৭ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত এ ট্রেন ফের চলাচলের অনুমতি দেওয়া হলেও পরবর্তীতে ২০ মে পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। রুটটিতে ব্যাপক যাত্রী চাহিদার কারণে দ্বিতীয় দফায় সময় বাড়িয়ে আগামী ১০ জুন পর্যন্ত ট্রেনটি চলাচলের কথা ছিল। ২১ মে থেকে ট্রেনটির কোচের সংখ্যা পাঁচটি বাড়ানো হয়। আগে ছিল ১০টি। শুরুতে ৪৩৮ যাত্রীর সক্ষমতা থাকলেও পাঁচ কোচ বাড়ানোর পর ৭০৫ যাত্রী পরবহন করছিল ট্রেনটি। এটি উভয়পথে চট্টগ্রামের ষোলশহর, জান আলী হাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা ও রামুতে যাত্রাবিরতি দিচ্ছে। রেলওয়ের অন্য একটি সূত্র বলছে, ট্রেনটি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের চার ট্রিপের স্থায়ী ট্রেনে উন্নীত করার পরিকল্পনা ছিল রেলওয়ের। কিন্তু ইঞ্জিন ও লোকবল সংকটের কারণে এটি বন্ধ করা হচ্ছে। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে মিটারগেজ ইঞ্জিনের হোল্ডিং ১৫৩টি। রেলের দৈনিক নিয়মিত চাহিদা ১১৬টি হলেও পাওয়া যায় মাত্র ১০০টি। যান্ত্রিক প্রকৌশল বিভাগ ১০০টি ইঞ্জিনের সরবরাহ দেওয়ার কথা থাকলেও দৈনিক সচল ইঞ্জিন পাওয়া যায় ৮৫ থেকে ৮৭টি। যার কারণে প্রতিদিনই বিকল্প ইঞ্জিনের জন্য বসে থেকে অনেক ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় হয়। বিশেষত মালবাহী একাধিক ট্রেনের যাত্রা বাতিল হচ্ছে নিয়মিত। সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি দুর্ঘটনায় ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়ায় একাধিক রুটে ট্রেন চালাতে হিমশিম খাচ্ছে রেলওয়ে। এজন্য আসন্ন ঈদুল আজহার আগে জনপ্রিয় ও লাভজনক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের বিশেষ ট্রেনটির সার্ভিস বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে পরিবহন বিভাগ।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল