• বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৭ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

১০০ দিনের মধ্যে ব্যাংকিং খাতের দুর্নীতির শ্বেতপত্র: গভর্নর

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১৮ আগস্ট ২০২৪  

ব্যাংকিং খাতের দুর্নীতি নিয়ে আগামী ১০০ দিনের মধ্যে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নবনিযুক্ত গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তার মতে, প্রত্যেকটা মন্ত্রণালয় যদি এই কাজটি করে, তাহলে সব একসঙ্গে নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে একটা শ্বেতপত্র প্রকাশ করা যেতে পারে।

গভর্নর বলেন, ‘আমার জায়গা থেকে রোডম্যাপটা অর্থাৎ শ্বেতপত্রটা ১০০ দিনের মধ্যে দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। সবাইকে চেষ্টা করতে হবে, ১০০ দিনের মধ্যে যেন এটা পারা যায়। ১০০ দিনের মধ্যে একটা আউটলাইন হবে, এর বেশি হবে না। এরপর এই আউটলাইনটাকে বাস্তবায়নের রোডম্যাপে নিয়ে যেতে হবে। সেটা করতেও কিন্তু ৬ মাস থেকে ৯ মাস লাগবে। আমরা আশা করছি, সবার সহযোগিতা নিয়ে অর্থনীতির সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।’

অর্থনৈতিক সেক্টর সংস্কার নিয়ে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আমাদের তিনটা জায়গাতে কাজ করতে হবে। একটা হলো রাজনৈতিক অঙ্গন। রাজনৈতিক সংস্কার। রাজনৈতিক সংস্কার না হলে অর্থনৈতিক সংস্কার টেকসই হবে না। এটাকে গ্রাস করে ফেলবে। দ্বিতীয়ত হচ্ছে, খুব দ্রুত সেবা প্রদানের জায়গাগুলো  সচল করতে হবে। প্রতিটি মন্ত্রণালয় থেকে নির্দিষ্ট কিছু সেবা দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ট্যাক্স বা ভূমি—সব জায়গাতেই উন্নতি করতে হবে। জনগণ যাতে সেবা পায়। ঘুষ বন্ধ করতে হবে। প্রতি পদে যে ঘুষ দিতে হতো, ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ হতো না, সেই জায়গায় দৃষ্টান্তমূলক কিছু করতে হবে। যাতে জনগণ বুঝতে পারে যে, সত্যি একটা পরিবর্তন হয়েছে। মাসখানেকের মধ্যেই এই কাজটা করা সম্ভব। তৃতীয়ত হলো, আমাদের অর্থনৈতিক সংস্কার। এই কাজে আমরা যুক্ত থাকব। এখানে অর্থমন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংককে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এখানে যারা আছেন, আমরা সবাই সবাইকে চিনি, জানি। ফলে আমরা একসঙ্গে এই কাজগুলো করব। আমাদের মূল্যস্ফীতি কমাতে হবে। এটা করতে হবে খুব দ্রুততার সঙ্গে। রিজার্ভকে আমাদের দাঁড় করাতে হবে। এমন অনেক কাজ আছে। অর্থনীতির এই সংস্কারের মধ্যেই ব্যাংকের সংস্কারের ইস্যুটি চলে আসবে।’

ব্যাংকিং সেক্টর প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, ‘ব্যাংকিং সেক্টরকে পুরোপুরি ঢেলে সাজাতে হবে। ব্যাংকিং টাস্কফোর্স বা ব্যাংকিং কমিশন করতে হবে। পাঁচ থেকে ছয় জনের একটা টিম নিয়ে পুরো সময় এখানে কাজ করতে হবে মাসের পর মাস। প্রত্যেকটা ব্যাংক, বিশেষ করে দুর্বল ব্যাংকগুলোর অবস্থা পর্যালোচনা করতে হবে। তারা আসলে কতটা দুর্বল? কীভাবে তাদের উদ্ধার করা যায়? আসলে প্রত্যেকটা ব্যাংক ধরে ধরে পুনর্গঠন করতে হবে। এখানে আন্তর্জাতিক সহায়তাও আমরা নেব। বিশ্বব্যাংক বা আইএমএফ থেকে আমরা পরামর্শ নেব। তাদের অভিজ্ঞতা আমাদের কাজে লাগাতে হবে। আর্থিক সাপোর্টও হয়ত লাগবে, সেটা প্রয়োজনে আমরা চাইব। করতে পারব আশা করি। ট্যাক্স বিশাল একটা এলাকা। এটার সংস্কার করতে হবে। এনবিআর মূল কাজটা করবে। কিন্তু এখানে তিনটা টাস্কফোর্সকে কাজ করতে দিতে হবে। অভ্যন্তরীণ ও বাইরের বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা নিয়ে কাজটা করতে হবে। এটা করতে কয়েক বছর লাগবে।’