• বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৭ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাবে মালয়েশিয়া প্রবাসীরা

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১৩ আগস্ট ২০২৪  

বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন মালয়েশিয়া প্রবাসীরা। এরই মধ্যে দেশটির এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোতে প্রবাসীদের ভিড় দেখা গেছে।
মালয়েশিয়ার বিভিন্ন এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত মালয়েশিয়া থেকে বৈধ পথে (ব্যাংকিং চ্যানেলে) প্রায় ১২৫ থেকে ১৩০ মিলিয়ন মার্কিন ইউএস ডলার দেশে পাঠিয়েছে প্রবাসীরা। বাংলাদেশি টাকায় যা ১৫ হাজার ৭শ’ কোটি।
 
এদিকে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পাঁচদিন আগে ও একদিন পর পর্যন্ত অর্থাৎ ১ থেকে ৬ আগস্টের মধ্যে প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে ৯৫.৬৫ মিলিয়ন ডলার। 

আর আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ৭ থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত ৩৮৭.১২ মিলিয়ন ডলার পাঠানো হয়েছে। সব মিলিয়ে চলতি আগস্টের প্রথম ১০ দিনে দেশে রেমিট্যান্স গেছে ৪৮২.৭৭ মিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

খাত সংশ্লিষ্টরা জানান, গত মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলন, ইন্টারনেট ও সংঘাতের কারণে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স শাটডাউন ঘোষণা দেন। এর প্রভাবে ঐ মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে। তার ধারাবাহিকতা চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহেও ছিল। 

সরকার পতনের পর রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। ভবিষ্যতে আরো বাড়বে বলে আশা করছেন প্রবাসীরা। এ ছাড়া টাকা পাচার রোধে হুন্ডিতে অর্থ না পাঠানোরও আহ্বান জানান সংশ্লিষ্টরা।

তাদের মতে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বর্তমানে দেশে হুন্ডি বন্ধ রয়েছে। টাকা পাচার, আন্ডার বা ওভার ইনভয়েসিংয়ের মতো কারসাজিমূলক বিষয়গুলো বন্ধ থাকায় বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে।  

তারা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকার যতদিন থাকবে, ততদিন হুন্ডি কম থাকবে। যেমনটি হয়েছিল কোভিডের সময়ে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিপোর্ট বলছে, জুলাই মাসে প্রবাসী আয় এসেছে প্রায় ১.৯১ বিলিয়ন ডলার। যদিও তার আগের মাস জুনে এসেছিল ২.৫ বিলিয়ন ডলার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রবাসী বলেন, প্রায় ১১ বছর পর ব্যাংকে আসছি টাকা পাঠাতে। আর কোনোদিন বিকাশ বা হুন্ডিতে নয় এখন থেকে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠাব। ব্যাংকে টাকা পাঠালে দেশের উন্নতি হবে।

আইনের সুশাসন, প্রবাসীদের হয়রানি বন্ধ, অভিবাসন ব্যয় কমানো ও প্রবাসে ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রশাসনের প্রতি আহ্বানও জানান তারা।

প্রবাসীরা বলেন, এয়ারপোর্টে অনেক ধরনের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সেই ভোগান্তিগুলো অবিলম্বেই যেন সমাধান হয়। দেশে যা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে তা ফিরিয়ে আনবেন বলে দৃঢ়তার সঙ্গে বলছেন প্রবাসীরা।