• শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৬ ১৪৩১

  • || ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাবার ২শ’ কোটি টাকার সম্পত্তির ভাগ পাচ্ছে না ৮ মেয়ে

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪  

নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের নতুন বাবুপাড়া এলাকার সরিষা তেল মিল মালিক পিতার রেখে যাওয়া ২০০ কোটি টাকার সম্পত্তিতে ওয়ারিশ মিলছে না আট মেয়ের। দেশের প্রচলিত আইন উপেক্ষা করে ওই সম্পত্তি থেকে মেয়েদের বঞ্চিত করেছে ব্যবসায়ী পিতার দুই পুত্র। জানা গেছে, সৈয়দপুর শহরের নতুন বাবুপাড়া এলাকার সানাউল্লাহর ওয়েল মিলের মালিক মৃত সানাউল্লাহর পরিবার। পিতার সম্পত্তির দাবিতে গত সাতদিন ধরে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন তার জীবিত মেয়ে মেহজাবিন, সুফিয়া খাতুন ও তার নাতি-নাতনিরা। শুক্রবার সকালে সরেজমিনে ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাবার বিলাসবহুল বাড়ি, আছে গাড়ি এবং ওয়েল মিল। অথচ জরাজীর্ণ বারান্দায় সন্তান নাতিদের নিয়ে অসহায়দের মতো বসে আছেন মেয়ে মেহজাবিন ও সুফিয়া খাতুন। ভাইয়ের ছেলেরা অন্যান্য রুম ও টয়লেটে তালা দেওয়ায় তারা এখানে অবস্থান করছেন। দুই ভাই ও আট বোনের মধ্যে সবার ছোট মেহজাবিন বলেন, ১৯৮০ সালে বাবা মারা যাওয়ার ভাইয়েরা সম্পত্তির ভাগ দিতে অস্বীকৃতি জানায়। শুধু তাই নয়, মা শাহেরবানিকেও ভালোভাবে দেখাশোনা করেনি ভাইয়েরা। মা ক্ষুধার জ্বালায় এক মুষ্টি মুড়ির জন্য ছেলেদের দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও কপালে জোটেনি খাবার। খাবারের বদলে ছেলেদের কাছ থেকে মিলেছে তিরস্কার। তিনি আরও বলেন, বাবার এত সম্পত্তি থেকেও আমার মা যেখানে এত কষ্ট ভোগ করে দুনিয়া ত্যাগ করেছে আমরা সেসব সম্পত্তির সঠিক ভাগ চাই। এ বিষয়ে কথা হয় বাড়ি দখলে থাকা মৃত সানাউল্লাহর নাতি মাসুদ আলম লিটনের সঙ্গে। তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দাদা সানাউল্লাহর তার সম্পত্তি দুই ছেলেকেই অর্থাৎ আমার বাবা ও চাচাকে লিখে দিয়েছেন। কোনো মেয়েকে লিখে দেননি। ফলে আমার আট ফুফু এ সম্পত্তিতে কোনো অধিকার নাই। সৈয়দপুর পৌরসভার কাউন্সিলর এরশাদ হোসেন পাপ্পু বলেন, মৃত সানাউল্লাহর ৮ মেয়ের ওয়ারিশগণের আবেদনে প্রেক্ষিতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সালিশি বৈঠক করা হয়। মৃত সানাউল্লাহর দুই ছেলের ওয়ারিশগণ উক্ত বৈঠকে জমির কাগজপত্র দেখাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তারা ৮ ফুফুদেরকে সম্পত্তি দিতে রাজি নন। এটি এক প্রকার হঠকারিতার শামিল। এ ব্যাপারে সৈয়দপুর থানার ওসি (তদন্ত) আতাউর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়ে মৃত সানাউল্লাহর ছেলের ওয়ারিশগণের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তারা বিষয়টি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে কোনো সাড়া দেননি।