• বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৭ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

৩৫ বছর ইমামতি শেষে মোটর শোভাযাত্রায় বিদায়

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১৭ আগস্ট ২০২৪  

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার একটি মসজিদে দীর্ঘ ৩৫বছর ইমামতি শেষে বিদায় নিয়েছেন মাওলানা রুহুল আমীন ওরফে বকুল ক্বার শুক্রবার জুমআ নামাজ আদায় শেষে তাকে আনুষ্ঠানিক বিদায় দেন মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় মুসল্লিরা। জানা গেছে, উপজেলার হিজলীয়া তারির বাপ হাজী বাড়ি জামে মসজিদে গত ৩৫ বছর ধরে পেশ ইমাম হিসেবে ইমামতি করে আসছেন মাওলানা রুহুল আমীন ওরফে বকুল ক্বারী। বর্তমানে তিনি বার্ধক্যজনিত এবং শারীরিক ভাবে কিছুটা অসুস্থ। তাই তিনি ইমামতি হতে অব্যাহতি নিয়েছেন। মাওলানা রুহুল আমীন পার্শ্ববর্তী নারিকেলতলার চর গ্রামের বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে তিনি হিজলীয়া গ্রামে ইমামতি করার সুবাধে স্থানীয়দের সঙ্গে খুবই সুসম্পর্ক গড়ে উঠে। হিজলীয়া গ্রামবাসীও তাকে সম্মান করেন। গ্রামের যে কোনো ভালো কাজে ইমামের পরামর্শ নিতেন এবং মেনে চলতেন গ্রামের লোকজন। তাই বিদায় বেলায় তাকে সংবর্ধনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মসজিদ পরিচালনা কমিটি এবং স্থানীয় লোকজন। এরই প্রেক্ষিতে শুক্রবার জুমআর নামাজের পর শেষ বেলায় তাকে সংবর্ধিত করা হয়। স্থানীয় মুসল্লিদের উপস্থিতিতে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি হারুন রশীদ মাস্টার ও সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মেম্বার ইমামের হাতে ফুলেল সংবর্ধনা তুলে দেন। এ সময় মসজিদের খতিব মুফতি আবদুল্লাহ, হাফেজ মাওলানা শফিকুল ইসলাম, মুফতি ইসমাইল হোসেন সিরাজী ও হাফেজ আবদুল্লাহসহ স্থানীয় ওলামায়ে কেরাম উপস্থিত ছিলেন। বিদায় বেলায় নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং উপহার সামগ্রী প্রদানসহ মোটর শোভাযাত্রা নিয়ে ইমামকে বাড়ি পৌঁছে দেন মুসল্লিরা। হিজলিয়া গ্রামের বাসিন্দা এমএস আল মামুন বলেন, ‘মসজিদের ইমাম হিসেবে হুজুর খুবই যোগ্য ব্যক্তি ছিলেন। এলাকার যে কোনো ভালো কাজে তিনি পরামর্শ দিতেন। এলাকার সবাই তাকে মুরব্বি এবং একজন আদর্শ অভিভাবক হিসেবে সম্মান করতেন। তিনি দীর্ঘদিন আমাদের এই মসজিদে ইমামতি করেছেন তাই বিদায় বেলায় খুবই কষ্ট লাগছে।’ মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাবেক ইউপি সদস্য শাহ আলম বলেন, ‘হুজুর আমাদের এই মসজিদে প্রায় তিন যুগ ধরে ইমামতি করে আসছেন। তার কোনো চাওয়া-পাওয়া ছিল না। আমরা যা পারতাম তাই হাদিয়া হিসেবে দিতাম। হুজুরের বিদায় বেলায় তার সম্মানার্থে আমরা বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করি এবং মুসল্লিদের নিয়ে মোটর শোভাযাত্রায় তাকে নিজ বাড়িতে পৌঁছে দিই।’