• বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৭ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

সাবেক এমপি সাহাদারা মান্নানসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১৭ আগস্ট ২০২৪  

বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানসহ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর বগুড়ার সোনাতলায় আনন্দমিছিলে হামলা করে স্কুলছাত্র সাব্বির হোসেন (১৪) হত্যার ঘটনায় এ মামলা করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) রাতে সোনাতলা থানায় মামলাটি করেন সাব্বিরের বাবা শাহীন আলম। মামলায় হত্যার নির্দেশদাতা উল্লেখ করে সাবেক সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানকে আসামি করা হয়। নিহত সাব্বির গাবতলী উপজেলার সুখানপুকুর ইউনিয়নের তেলিহাটা গ্রামের শাহীন আলমের ছেলে। তিনি গাবতলীর সুখানপুকুর বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের কারিগরি শাখার নবম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর ৫ আগস্ট বিকেলে এলাকায় আনন্দমিছিল বের করা হয়। সেই আনন্দমিছিলে উপজেলার দিগদাইড় ইউনিয়নের শিহিপাড়ায় ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করা হয়। এ সময় আনন্দমিছিলে যোগ দেওয়া স্কুলছাত্র সাব্বির হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করেন আসামিরা। মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- সাহাদারা মান্নানের ছোট ভাই সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিনহাদুজ্জামান লীটন, সাহাদারার ছেলে সারিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন, সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নবীন আনোয়ার কমরেড, দিগদাইড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নিরঞ্জন চন্দ্র রায়, দিগদাইড় ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক আরিফুর রহমান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও গাবতলীর সুখানপুকুর নতুনপাড়ার বাসিন্দা সাহানুর ইসলাম সাকিল। সোনাতলা থানার ওসি বাবু কুমার সাহা বলেন, ছাত্র-জনতার আনন্দমিছিলে হামলা ও স্কুলছাত্র সাব্বিরকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানকে হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা সবাই প্রায় আত্মগোপনে আছেন। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।