• বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৭ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

মেলান্দহ সেনাক্যাম্পে জমি সংক্রান্ত বিরোধের অভিযোগ দায়ের

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১২ আগস্ট ২০২৪  

জামালপুরের মেলান্দহে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মামলা-হামলা-জমি দখলকে কেন্দ্র করে হট্রগোল হয়েছে। 

৬ আগস্ট বিরোধীয় জমিতে অবস্থিত একটি বাড়ি দখলের অভিযোগটি অবশেষে সেনা ক্যাম্প পর্যন্ত গড়িয়েছে।

জানা গেছে, ২০১১ সালে মলিকাডাঙ্গা গ্রামের শওকত আলীর ভাতিজা কাফি মিয়াকে পৌনে ৯ শতাংশ জমি দান করেন। জমির হাল দাগ নং-৬০৯/৬১০, মৌজা-মেলান্দহ মলিকাডাঙ্গা। 

২০২০ সালে কাফি মিয়া উক্ত জমি হাফিজুর রহমানকে দান করেন। শওকত আলী এই খবরটি জানার পর ক্ষুব্দ হন। একপর্যায়ে দাতা শওকত আলীর দেয়া হেবাকৃত জমি ফেরত চেয়ে জামালপুর কোর্টে মামলা (নং-৩৮০/২০২১) দায়ের করেন।
বিজ্ঞ আদালতে মামলাটি বিচারাধীন থাকাবস্থায় সর্বশেষ ৫ আগস্ট সাক্ষ্য গ্রহণের দিনক্ষণ ধার্য ছিল। ইতোমধ্যেই সরকার পতনের কারণে গোটাদেশের প্রেক্ষাপটের চিত্র পাল্টে যায় এবং আদালতের কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ থাকে।
শওকত আলীর জামতা আশরাফ আলীর অভিযোগ, জমিটি আমার পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত। দেশে নৈরাজ্য পরিবেশের মধ্যে হাফিজুর রহমান কৌশলে মামলা হাজিরার পরদিন ৬ আগস্ট বিরোধীয় জমিতে থাকা আমার বসতবাড়িতে হানা দিয়ে মারধর শেষে জমি দখলে নেয়। প্রতিপক্ষের আঘাতে আহত আমার স্ত্রী রাবেয়া বেগমকে মেলান্দহ হাসপাতালে ভর্তি করি এবং সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ দেই। হাফিজুর জমি পাবে এখানে নয়, অন্য স্থানে।
 জমিদাতা শওকত আলী জানান-আমার ভাতিজা কাফি মিয়া হেবার শর্তভঙ্গ করায় নিয়মানুযায়ী জমিটি ফেরতের জন্য কোর্টে মামলা দায়ের করেছি। 
এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষ হাফিজুর রহমান জানান-আশরাফ আলীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমাকে সেনা ক্যাম্পে নিলে ঘটনা খুলে বলে বলার পর ছেড়ে দেয়। কাফি মিয়ার জীবিত থাকাবস্থায় আমাকে জমি লিখে দেন। কাফি মিয়ার মৃত্যুর পর তার স্ত্রী-সন্তানরাতো জমির মালিকানা দাবি করতে পারবেন না ? শওকত আলী মামলা করেছেন মৃত কাফি মিয়ার স্ত্রী সন্তানদের নামে। বিরোধের উৎপত্তি এখান থেকেই।