• বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ ||

  • আষাঢ় ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৫

সর্বশেষ:
রাষ্ট্রদূতকে কুয়েতে জনশক্তি রপ্তানিতে কাজ করার নির্দেশ রাষ্ট্রপতি গ্রামের নাগরিকদের জন্য সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ও সড়ক পরিবহন সচিব পদে পুন:নিয়োগ চট্টগ্রাম বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ১ লাখ ৬ হাজার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের রোড মডেল হয়েছে বিমানের পাইলট ঘাটতি কাটিয়ে উঠার নির্দেশ দিলেন মুহাম্মদ ফারুক খান দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নের আহবান নাছিমের সুনামগঞ্জের শাল্লায় বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ ও নগদ অর্থ বিতরণ চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমবাগান পরিদর্শনে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত দেশের স্বার্থ রক্ষা করেই ভারতের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

নবজাতককে নিয়ে ঘুমিয়েছিলেন মা, অতঃপর...

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১৮ জুন ২০২৪  

৭ দিন বয়সী নবজাতক সন্তানকে নিয়ে নিজ ঘরে ঘুমিয়েছিলেন মা তৃষা বেগম। রাত ৩টার দিকে তার ঘুম ভাঙে যায়। এ সময় বিছানায় সন্তানকে না দেখতে পেয়ে যান স্বামীর ঘরে। স্বামীর কাছেও সন্তানকে না পেয়ে শুরু করেন আহাজারি। এতে বাসার অন্যরা ঘুম ভেঙে যায়। কয়েক ঘণ্টা খোঁজাখুঁজি করেও বুকের ধনকে পাননি মা। অবশেষে আজ মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকাল ৯টার দিকে শিশুটির সন্ধান মেলে বাড়ির পাশে ঝোপের মধ্যে। তবে জীবিত নয়, মৃত অবস্থায়। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার দিনগত রাতের আঁধারে ঘর থেকে নিয়ে গিয়ে ৭ দিন বয়সী নবজাতককে মেরে ফেলার এ ঘটনা ঘটেছে কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌরশহরের নিউ টাউন এলাকায়। পরিবারের সদস্যরা জানান, শিশুটির বাবা উসমান গণি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। তার বাড়ি ভৈরব পৌরশহরের ভৈরবপুর উত্তরপাড়ায়। তিনি দুই বিয়ে করেছেন। প্রথম স্ত্রী একজন চিকিৎসক, তিনি ঢাকায় থাকেন। সাড়ে তিন বছর আগে উসমান গণি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম তৃষা বেগম। তৃষার বাবার বাড়ি কুলিয়ারচরের ছয়সূতী গ্রামে। ৭ দিন আগে তৃষা একটি ছেলেসন্তানের জন্ম দেন। গণি-তৃষা দম্পতির আরো একটি সন্তান রয়েছে। সন্তানদের নিয়ে তৃষা থাকেন ভৈরব পৌরশহরের নিউটাউন এলাকার একটি ফ্ল্যাটে। তার সঙ্গে সবসময় থাকেন দুজন গৃহকর্মী ও তৃষার এক বান্ধবী। উসমান গণি সপ্তাহে একদিন শুক্রবার ভৈরবের একটি বেসরকারি হাসপাতালে রোগী দেখেন। তিনি এবার ঈদ করেন দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে। তৃষা জানান, রাত ৩টার দিকে তার ঘুম ভাঙে। এ সময় তিনি দেখেন শিশুটি বিছানায় নেই। অন্য কক্ষে তার স্বামী ঘুমাচ্ছিলেন। সেখানেও নেই শিশুটি। এ সময় তিনি চিৎকার দিতে থাকেন। তার চিৎকার শুনে সবাই ছুটে আসেন। আশপাশে খোঁজ করেও শিশুটিকে পাওয়া যায়নি। ফলে ভৈরব থানাকে বিষয়টি জানানো হয়। পুলিশ আজ সকালে ঘটনাস্থলে যায় এবং বাসার পাশের একটি ঝোপ থেকে শিশুটিকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ জানান, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নবজাতকের বাবা ওসমান গণি, মা তৃষা, তৃষার বান্ধবী সুমাইয়া, কাজের মেয়ে শিলা ও মিমকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল