• বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ ||

  • আষাঢ় ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৫

সর্বশেষ:
রাষ্ট্রদূতকে কুয়েতে জনশক্তি রপ্তানিতে কাজ করার নির্দেশ রাষ্ট্রপতি গ্রামের নাগরিকদের জন্য সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ও সড়ক পরিবহন সচিব পদে পুন:নিয়োগ চট্টগ্রাম বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ১ লাখ ৬ হাজার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের রোড মডেল হয়েছে বিমানের পাইলট ঘাটতি কাটিয়ে উঠার নির্দেশ দিলেন মুহাম্মদ ফারুক খান দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নের আহবান নাছিমের সুনামগঞ্জের শাল্লায় বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ ও নগদ অর্থ বিতরণ চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমবাগান পরিদর্শনে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত দেশের স্বার্থ রক্ষা করেই ভারতের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

প্রকল্পের অর্থ ইউপি চেয়ারম্যানের পকেটে

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১৮ জুন ২০২৪  

প্রকল্পের কাজ না করেই টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার সুতারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছেন ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার সাইফুল্লাহ। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সুতারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন হতদরিদ্র প্রকল্পের (৪০ দিনের) কর্মসূচির সব টাকা ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোতালেব মেম্বারসহ নিজের ভাইকে নিয়ে আত্মসাৎ করেন। এছাড়া সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মাহমুদার দাখিলকৃত ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বুরিরবাধ-জহিরাবাদ পর্যন্ত মাটি ভরাটের কাজ ৭৭ জন লেবার দেখিয়ে পাস করিয়ে ঐ সংরক্ষিত মহিলা সদস্যের স্বাক্ষর জাল জালিয়াতি করে পুরো টাকাই কামাল চেয়ারম্যান ও তার সহযোগীরা আত্মসাৎ করেছেন। জানা যায়, ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মতি মিয়া কামাল চেয়ারম্যানের অন্যতম অংশীদার। ঐ ওয়ার্ডের মুর্শিদ আলম, মুজিবুর ও মোখলেছুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, প্রায় ২ বছর ৬ মাস আগে তাদের ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে ফিঙ্গার প্রিন্ট করিয়ে তাদের নামে মোবাইল কোম্পানির সিম রেজিস্ট্রেশন করেন সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার আলপনা। মতি মেম্বার ও আলপনা মিলে কামাল চেয়ারম্যানের হতদরিদ্র প্রকল্পে ২৯৮ জনের ১৬,৫০০ টাকা করে পাঁচ বারে প্রায় ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। অথচ যাদের নামে বরাদ্দ তারা কিছুই জানেন না। ভুক্তভোগীদের এখন একটাই চাওয়া যে তাদের টাকার দরকার নেই, কিন্তু তাদের নামে নিবন্ধিত সিমগুলো তাদের হাতে ফেরত দেওয়া হোক। সিমগুলোর ব্যাপারে তারা নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন। তাদের সিমগুলো যদি চেয়ারম্যান কিংবা তাদের লোকেরা খারাপ কাজে ব্যবহার করে তাদের ফাঁসিয়ে দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা। এদিকে উত্তর গনেশপুর খেয়াঘাট ইজারা পাওয়ার জন্য সুজন রবিদাস (পাটনী) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর দুই লাখ টাকায় আবেদন করে ৫০ হাজার টাকা বিডি প্রদান করেন। উদ্দেশ্য ছিলো সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি করা। কামাল চেয়ারম্যান নিজে চার লাখ টাকা উৎকোচ নিয়ে মাত্র ১৯ হাজার ৫০০ টাকার বিনিময়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যের নাম ভাঙিয়ে নিজ প্যাডে লিখে জুবায়েদুল্লাহকে ঘাটের ইজারা বুঝিয়ে দেয়। যেখানে প্রতিদিন ২৫০০-৩০০০ লোক খেয়া পারাপার হয়। জনপ্রতি ৫ টাকা নিলে গড়ে প্রতিদিন প্রায় ১৫ হাজার টাকা ভাড়া আদায় হয়। সেই খেয়াঘাট মাত্র এক বছরের জন্য ১৯ হাজার ৫০০ টাকায় ইজারা দিয়ে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চেয়ারম্যান নিজে অনৈতিকভাবে লাভবান হন বলে বিভিন্ন সূত্রে অভিযোগ রয়েছে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সুতারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বলেন, সব অভিযোগ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। প্রত্যেকটি প্রকল্পের কাজ স্থানীয় মেম্বারের মাধ্যমে লেবার (শ্রমিক) দ্বারা সম্পন্ন করা হয়েছে। স্থানীয় এমপির মৌখিক নির্দেশে ঘাটের ইজারা দেওয়া হয়েছে। ইজারার জন্য আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে একজনকে দেওয়া হয় অন্যরা তো বাদ পড়বেই। ঘাটের ইজারা না পেয়ে আমার বিরুদ্ধে একটি চক্র ষড়যন্ত্র করছে। করিমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানা আলী বলেন, আমি এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আজকের টাঙ্গাইল
আজকের টাঙ্গাইল