• রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

  • || ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

আওয়ামী লীগের সময়ে লাইসেন্স পাওয়া ১৬৫৪ অস্ত্র এখনো জমা হয়নি

আজকের টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪  

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লিগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপরই দেশের পাঁচ শতাধিক থানায় হামলা চালিয়ে বিপুল অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট হয়। সেসব অবৈধ অস্ত্রের সঙ্গে গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের সময়ে লাইসেন্স করা অস্ত্রও জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এজন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। বেঁধে দেওয়া সময় শেষে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে গত মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে সশস্ত্র বাহিনী (সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী) পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসারের সমন্বয়ে যৌথ আভিযানিক দল গঠন করে অভিযান শুরু হয়। পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত দেশের আট বিভাগে ৯ হাজার ১৯১টি বৈধ অস্ত্র থানাগুলোতে জমা পড়েছে। তবে এখনো জমা দেওয়া হয়নি আওয়ামী লীগের সময়ে লাইসেন্স দেওয়া ১ হাজার ৬৫৪টি বৈধ অস্ত্র। মঙ্গলবার পুলিশ সদর দফতর জানিয়েছিল, গত ৫ ও ৬ আগস্ট সারাদেশে ১১ ধরনের মোট ৫ হাজার ৮২৯টি অস্ত্র লুট হয়। এর মধ্যে ৩ হাজার ৬৩টি উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও ২ হাজার ৬৬টি অস্ত্র উদ্ধার করা যায়নি। গোলাবারুদের মধ্যে লুট হয় বিভিন্ন বোরের ৬ লাখ ৬ হাজার ৭৪২টি গুলি, যার মধ্যে এখনো উদ্ধার হয়নি ৩ লাখ ২০ হাজার ৬৬০টি। লুট করা ৩১ হাজার ৪৪টি কাঁদানে গ্যাসের শেলের মধ্যে ৮ হাজার ৯০৫টি এখনো উদ্ধার করা যায়নি। সাউন্ড গ্রেনেড লুট করা হয়েছিল ৪ হাজার ৬৯২টি। এরমধ্যে এখনো ২ হাজার ৫৭৬টি উদ্ধার করা যায়নি। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সময়ে দেশের আট বিভাগে ১০ হাজার ৮৪৫টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট থানাগুলোতে জমা পড়ে ৯ হাজার ১৯১টি। এখনো জমা পড়েনি লাইসেন্স দেওয়া ১ হাজার ৬৫৪টি আগ্নেয়াস্ত্র।